রাতের খাবার তো রাতেই খায় সবাই। খুব স্বাভাবিক বিষয় তাইনা? তবুও এর মধ্যে আবার ‘কখন’ কেন, এগুলো আসে। কারণ সবকিছুরই নিয়ম আছে। তাই খাবার খাওয়ার সঠিক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা খাবার শুধু খেলেই হয়না, কখন খাচ্ছেন তার ওপরেও কিন্তু নির্ভর করে শরীরের ভালো-মন্দ।
কখন খাবেন?
ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলা আদর্শ। ভরপেট খেয়েই শুয়ে পড়লে, হজমের সমস্যা হতে পারে। তার চেয়ে খাওয়া শেষ করে একটু হাঁটাচলা করুন, বা়ড়ির অন্য কাজ করুন। তা হলে হজমেও সুবিধা হবে, আবার ঘুমও তা়ড়াতা়ড়ি আসবে।
মানসিক স্বাস্থ্য বলতে সংবেদনশীল, সামাজিক এবং মানসিক স্তরের সুস্থতা বোঝায়। এটি আমাদের চিন্তাভাবনা, অভিনয়, অনুভূতিকে প্রভাবিত করে।
মন এবং শরীর খুব কম সময়ই আলাদাভাবে চিন্তা করে। তাই মন এবং শরীরের যত্ন একসাথেই নেয়া উচিত। কারণ খারাপ মানসিক স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
যেসব খাবার খাবেন—
ওমেগা৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন—আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, তৈলাক্ত মাছ যেমন সার্ডাইনস, সলমন, ক্যানোলা তেল ইত্যাদি।
প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন—দই, বাটার মিল্ক, ঘরে তৈরি আচার।
দানাশস্য—বাদামি চাল, ওটমিল, বাজরা, গম।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন—বেরি, সবুজ শাকসবজি, ডার্ক চকোলেট, আদা এবং হলুদ।
ভিটামিন ডি—সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস। আর ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলি হলো মাশরুম, ডিমের কুসুম, সলমন।
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার—ডার্ক চকোলেট, কলা, কাজু, বাদাম এবং মটরশুটি।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
তাই সঠিক খাবার গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করে। এছাড়াও প্রতি রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান, হাইড্রেড থাকুন।
Leave a Reply