|
জুলাই বিপ্লব ও অনন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ভূয়সী প্রশংসা করে তাদের জীবন উৎসর্গ ও অদম্য নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেছেন। চব্বিশের এ আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, গোটা পৃথিবীর জন্যই একটা বার্তা হিসেবে উল্লেখ করেন প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। একই সঙ্গে আন্দোলনে ছাত্রদের ওই অবিস্মরণীয় সাফল্য গোটা বিশ্বের তরুণদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা, তাও ঘোষণা দেন দ্ব্যর্থহীনচিত্তে। তারুণ্যের শক্তির কাছে হাসিনার মতো দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ফ্যাসিবাদী শক্তিও যে কিছুই নয়, সেটাই মূলত ছাত্রদের প্রশংসার ছলে বিশ্বমোড়ল আমেরিকাবাসীর সামনে তুলে ধরেন এ নোবেলজয়ী। এজন্য তিনি রংপুরে পুলিশের গুলির সামনে নির্ভীক তরুণ আবু সাঈদের সেই বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর অবিস্মরণীয় ঘটনা বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দেন আবেগাপ্লুত হয়ে। ছাত্রদের প্রশংসা করার একপর্যায়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের সঙ্গে ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা বোঝাতে আবু সাঈদের অনুকরণে ড. ইউনূস যখন দুই হাত ও বুক চিতিয়ে স্টেজে দাঁড়ান, বিল ক্লিনটনের ওই অনুষ্ঠানের হলভর্তি দর্শক তখন বিপুল করতালিতে ফেটে পড়েন। তার ওই প্রশংসার সমান অংশীদার কিন্তু আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও। আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যদি মাথা হয়, তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছিল এর মেরুদণ্ড। তারা সব ভয়-ডর উপেক্ষা করে আবাবিল পাখির মতো অসম্ভব ক্ষিপ্রতা নিয়ে রাস্তায় নামলে, আন্দোলনের কারিগররা অসম্ভবকে সম্ভব করার মানসিক দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। একপর্যায়ে স্কুল-কলেজের ছোট ছোট শিক্ষার্থী পর্যন্ত ভয়কে জয় করে মাঠে নামে দলে দলে। এমন সময় বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ, সশরীরে উপস্থিতি ও তার ওপর সরকারের জেল-জুলুম-নির্যাতনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। এ ছাড়া সরকারকে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদ ইউল্যাবের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খানের সাহসী বক্তব্য ছাত্র-জনতাকে আরও বেশি সাহসী করে তোলে।
|
|
|
|
|