ঈদকে কেন্দ্র করে দোকানে দোকানে কেনাকাটার ধুম। পাশাপাশি পোশাক সরবরাহকারী কারখানাগুলোতে চলছে রাত-দিন ব্যস্ততা। ঢাকার কেরানীগঞ্জের পাইকারি মার্কেট থেকে পোশাক সংগ্রহ করছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খুচরা বিক্রেতারা। স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন পোশাক দিতে পেরে খুশি কারখানা মালিকরাও।
ঈদ আসলেই বিপণিবিতানগুলোতে পোশাকের জোগান দিতে ব্যস্ততা বেড়ে যায় স্থানীয় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ঘুরে দেখা মেলে সেই কর্মচাঞ্চল্য। ঈদকে সামনে রেখে তিন মাস আগেই এখানে শুরু হয়েছে পোশাক তৈরির কাজ।
কারখানায় উৎপাদিত পোশাক প্রদর্শন হয় পাশের মার্কেটগুলোতে। এবারে ঈদ কালেকশনে প্রাধান্য পেয়েছে সাম্প্রতিক ট্রেন্ড। বিক্রেতারা জানান, বছরের মোট বিক্রির প্রায় ৭০ ভাগই হয় এই মৌসুমে। পোশাকের ডিজাইনেও আসে ভিন্নতা।
ঈদ কেন্দ্রিক ব্যবসার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খুচরা বিক্রেতারা বলেন, এখানে স্বল্পমূল্যে গুণগত মানের পোশাক পাওয়া যায়। তাই ব্যবসায়ীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই এলাকার পাইকারি মার্কেটগুলো।
কারখানা ও মার্কেটের দোকান মালিকরা বলছেন, বরাবরের মতো এবারও প্রত্যাশা অনুযায়ী পাচ্ছেন ক্রেতার দেখা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে চাপ।
উল্লেখ্য, কাজের চাপ সামাল দিতে রমজান জুড়ে কেরানীগঞ্জের পোশাক কারখানাগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত চলে কর্মযজ্ঞ।
এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট-শপিংমলগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতার চাপ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ভিড় এড়াতে অনেকেই আগেভাগে সেরে ফেলছেন ঈদের কেনাকাটা। ভালো বিক্রির আশা ব্যবসায়ীদেরও।
ক্রেতারা বলেন, ঈদের এখনো ঢের বাকি। তবুও প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা সারতে আগেভাগেই মার্কেটে আসা। তাছাড়া শেষদিকে মার্কেট ও শপিংমলগুলোয় ভিড়ও থাকে প্রচণ্ড। তখন স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা যায় না।