ক্যাশলেস ইকোনমি করতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও এতে বিভিন্ন মহলের আপত্তি আছে বলে জানিয়েছেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ‘বাংলাদেশ কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন: দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার ফর হায়ার রিসোর্স মবিলাইজেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন ও ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের করপোরেট ট্যাক্সে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছিল যেন সব ট্র্যানজেকশন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন আপত্তি এসেছে। অনেকে ছাড়ের সুবিধা নিতে পারেননি, কারণ তারা বলেছেন ক্যাশ ট্র্যানজেকশন করা যাবে না।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কীভাবে ক্যাশলেস ইকনোমি হবো, যদি আমাদের ব্যবসায়ীরা ক্যাশেই ট্র্যানজেকশন করতে চান।
রাজস্ব আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সরকার চেষ্টা করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এনবিআরকে সহযোগিতা করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেও জানান।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কর আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ডিজিটালাইজেশন হলেও এর সুফল আদায় করা যাচ্ছে না। কাস্টমস, ভ্যাট, ট্যাক্স ও পেমেন্টে ডিজিটালাইজেশন হলেও খাতগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা মো. রহমাতুল মুনিম, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।