বর্তমানে যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ করছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। এর ফলে ঋণের সুদহার সহনীয় পর্যায় মার্জিনের হার কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবুও বেড়েছে ঋণ ও আমানতের সুদহার দুটোই বেড়েছে।
প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি এপ্রিল মাসে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) আমানত রাখলে সুদ মিলবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর ঋণ নিলে গুনতে হবে ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশে ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে আমানতে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ এবং ঋণে ৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে এপ্রিল মাসে ঋণ ও আমানতে সুদহার নির্ধারণ করবে। ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মার্টের সঙ্গে (বর্তমানে স্মার্ট ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ) সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে। আগে এই মার্জিন ছিল সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে নতুন হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদহার এর সর্বোচ্চ সীমা হবে ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
আমানতের সুদহারের ক্ষেত্রে বর্তমান স্মার্ট ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশের সঙ্গে মার্জিন যোগ হবে ২ শতাংশ। এতে করে আমানতের সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
এতে সুদহারের বিষয়টি ছাড়া অন্য কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। সেই হিসেবে এর আগের প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সবশেষ মার্চে স্মার্ট রেট প্রায় এক শতাংশ বেড়ে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে উঠেছে।